কাতারা বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের লড়াইয়ের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল। যদিও তাদের নকআউটপর্ব নিশ্চিত। কিন্তু গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় বাছাইয়ের লক্ষ্যে রাত ১টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল-ক্যামেরুন ও সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড। ‘জি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দিয়েই শেষ হবে গ্রুপপর্বের খেলা।






নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে নতুন ব্রাজিলকে দেখা যাবে। চোটের কারণে নেইমার আগেই ছিটকে পড়েছেন গ্রুপপর্ব থেকে। আজকের ম্যাচেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। এর বাইরে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন ব্রাজিল কোচ তিতে। খেলাতে পারেন রিজার্ভ দলের কয়েকজনকে।
গোলপোস্ট থেকে শুরু করে সব পজিশনেই পরিবর্তন আসতে পারে। অ্যালিসনের জায়গায় খেলতে পারেন এডারসন। ৩৯ বছর বয়সী চিরসবুজ দানি আলভেজের মাঠে নামা নিশ্চিত। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডও নাকি তার হাতে থাকবে।






মাঝমাঠে ফ্যাবিনো ছাড়াও ব্রাজিলের আক্রমণভাগে দেখা যেতে পারে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ও অ্যান্টোনিকে। তিতের এই একাদশ পাল্টানোর পেছনে প্রধান যুক্তি হতে পারে একটাই, শেষ ষোলো যেহেতু আগেই নিশ্চিত হয়েছে, তাই নকআউট পর্বের আগে নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, ব্রাজিলের আক্রমণভাগে আজ রদ্রিগো, অ্যান্টনি, জেসুস ও মার্টিনেল্লিকে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে। তরুণ ‘চতুষ্টয়’ আক্রমণভাগ। এই ৪ খেলোয়াড়কে নিয়ে তিতে একাদশ গড়লে তা রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেবে।






বিশ্বকাপে গত ৬০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এটাই হবে ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ আক্রমণভাগ। এই চার খেলোয়াড়ের গড় বয়স ২২.৯ বছর। তাদের মধ্যে তিনজনের জন্ম—রদ্রিগো (৯ জানুয়ার, ২০০১), অ্যান্টনি (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০) ও মার্টিনেল্লি (১৮ জুন, ২০০১)।
আক্রমণভাগে ব্রাজিলের এই চার খেলোয়াড় একাদশের হয়ে মাঠে নামলে ফিরে আসবে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের স্মৃতি। সে বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে চার খেলোয়াড় নিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিল ব্রাজিল—পেলে, গারিঞ্চা, মারিও জাগালো ও মাজ্জোলা। সে সময় এই চার খেলোয়াড়ের গড় বয়স ছিল ২২.২ বছর। পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস, গারিঞ্চার ২৪ বছর ৭ মাস, মাজ্জোলা ১৯ বছর ১০ মাস ও জাগালোর বয়স ছিল ২৬ বছর ১০ মাস।






বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ইতিহাসে মাত্র দুটি আসরে এর চেয়ে কম বয়সী আক্রমণভাগ মাঠে নামিয়েছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ সালের তথ্য–উপাত্ত তো আগেই দেওয়া হলো। আর আছে ১৯৩৪ আসর—যেখানে ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ২২.১ বছর।